দীপঙ্কর দাস ● পাগলাচণ্ডী
এ বাড়ির প্রায় পুরো চত্বর জুড়ে পুষ্পোদ্যান। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় রকমারি ফুলে এ বাড়ি যেন মর্ত্যের নন্দনকানন।
করোনার কাল পার হলে,হাতে যদি সময় থাকে আর মনে যদি ইচ্ছে থাকে এমন নন্দনকাননকে দু’চোখ ভরে দেখার, তবে কোনও একদিন ঘুরে যেতেই পারেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাগলাচণ্ডীর বাড়ি।
কী ফুল নেই এখানে? গ্রীষ্মে যেমন পাবেন রকমারি দোপাটি, ছোট-বড় নয়নতারা, কসমস, তেমনই শীতে নানা ধরনের চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, পিটুনিয়া, পেনজি, ক্যালেন্ডুলা। আর সব সময়ের জন্য রয়েছে হরেক কিসিমের গোলাপ, জবা এবং আরও প্রচুর দেশি-বিদেশি ফুল, নানা বাহারি গাছের বর্ণাঢ্য কাটিং।
ফুলবাগান দেখাশোনা করার জন্য রয়েছেন তিনজন। এখানে পা দিলেই দেখা যাবে পুষ্পোদ্যান পরিচর্যা চলছে সর্বক্ষণ। একেবারে পাগলচণ্ডী দহের উপর এই বাড়ি। তাই জলের জোগান খুব সহজেই পাওয়া যায়। এত সুন্দর একটা দহকে সামনে পেয়ে তার ঘাটের সিঁড়ির দু’দিককেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুলে। সব মিলিয়ে ভারী নয়নাভিরাম দৃশ্য।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বাড়ি তৈরি হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সেই থেকে এখানে তিনি কলকাতার কাজে ছুটি পেলেই চলে আসেন। একসময় প্রতি শুক্রবারে কোর্টের কাজ শেষ হতে তাঁর গাড়ি এই বাড়ির দিকে রওয়ানা হত। শনিবার সারাদিন কাটিয়ে ফিরতেন পরের দিন।
করোনা পর্বের আগেও এই নিয়মে তেমন হেরফের হয়নি। দুই পুত্র, নাতি নাতনি নিয়ে এখন বিরাট পরিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। পরিবারের সদস্যদের কেউ বিদেশে, আবার কেউ এদেশেরই ভিন রাজ্যে। তবু এ বাড়িতে তাঁদের আসা যাওয়া যথেষ্টই রয়েছে।
নন্দনকানন দেখতে এলে, ভাগ্য যদি প্রসন্ন থাকে তবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আপনি সাক্ষাৎও এখানে পেয়ে যেতে পারেন।