মামুন আব্দুল কায়েম ● ডোমকল
হাতের মধ্যে পদ্ম আঁকা পোস্টার নিয়ে ক’দিন আগে বেশ হইচই হয়েছিল। এ বার তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি মইনুল হাসানের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ডোমকল ও জলঙ্গিতে। ডোমকল পুরসভা এলাকা থেকে পুরনো বিডিও মোড় এলাকা ও জলঙ্গির ভাদুরিয়াপাড়াতেও ওই পোস্টার দেখা গিয়েছে। একদিকে মইনুল হাসান ও অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে—’মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করতে হোলি-কোরআন্ এর লেখক মইনুল হাসানই যথেষ্ট’। তার নীচে লেখা—‘মইনুল হাসান হঠাও তৃণমূল কংগ্রেস বাঁচাও।’ দুয়ারে কড়া নাড়ছে ভোট। তার আগে এমন পোস্টার পড়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তুঙ্গে উঠছে ভোটের প্রচার। সম্প্রতি হাত চিহ্নের মধ্যে পদ্ম আঁকা পোস্টার নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এ বার সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসানের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরেও আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলায় সিপিএম সাংসদ ছিলেন মইনুল। পরে তিনি শাসকদলে যোগ দেন এবং তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি হন। এমনকি তাঁকে জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যও করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মইনুলের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় কে বা কারা ওই পোস্টার সাঁটিয়েছেন। জলঙ্গীর প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ডোমকল, জলঙ্গিতেও ছবিটা এক। তবে ওদের নিজেদের লোক ছাড়া কেউ এইরকম পোস্টার মারতেই পারে না।’’
ডোমকলের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘ডোমকলে মইনুল হাসানের তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়ে রটনাও শুরু হয়েছে। তবে নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে তিনি সিপিএম ছেড়ে যখন তৃণমূলে যেতে পেরেছেন, তখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেও যেতে পারেন। এমনটা হতেই পারে যে, নিজের লোককে দিয়েই নিজের বিরুদ্ধে এ সব লিখিয়ে তিনি সামনের সারিতে আসতে চাইছেন।’’
যা শুনে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলছেন, ‘‘এ সব বিরোধী দলের লোকজনের কাজ। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’’ আর মইনুল হাসান বলছেন, ‘‘বিরোধীরা হালে পানি পাচ্ছেন না। তাই বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট মিলেই এ সব করেছে!’’