কল্লোল প্রামাণিক ● বহরমপুর
গত শুক্রবার দলবদল করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল (মধু) ও জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বৈঠক করলেন জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যরা। সোমবার জেলা পরিষদের সভাগৃহের ওই বৈঠকে সভাধিপতি ও সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী সাবিনার সদস্য পদ খারিজের আবেদন জানানো হবে প্রশাসনের কাছে। এ ছাড়া সভাধিপতির প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বিষয়েও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হবে।
কয়েকদিন আগে নিজের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে মধু শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি আর সাবিনা সবে ব্যাটিং শুরু করলাম। এ বার চার-ছয় মারা শুরু হবে।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, নিজেদের ‘খেলোয়াড়’দের বুঝে নিতেই সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছিল দল। সূত্রের খবর, তৃণমূল ছেড়ে মধু কংগ্রেসে চলে যাওয়ার পরে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জেলা সভাপতির হয়ে এ দিন এই বৈঠক ডাকা হলেও বৈঠকে জেলা সভাপতি আবু তাহের খানই হাজির ছিলেন না। সূত্রের খবর, আবু তাহের কলকাতায় যাওয়ায় দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে এসেছিলেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাসও।
যদিও জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, ‘‘এ দিন জেলা পরিষদে গেট টুগেদার ছিল। আমি গিয়ে সৌজন্য-সাক্ষাৎ করে এসেছি। কোনও বৈঠক করিনি।’’ জেলা পরিষদের কৃষি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিরোধী মুখ বলে পরিচিত শাহনাজ বেগমের দাবি, ‘‘দল নয়, আমরা জেলা পরিষদের সদস্যরা বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে জেলা পরিষদের আগামী দিনের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলছেন, ‘‘এ সব গেট টুগেদার করে লাভ হবে না। আগেও বলেছি, এখনও বলছি, সবে ব্যাটিং শুরু করেছি। চার-ছয় মারা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আইন অনুসারে এখন পর্যন্ত আমিই সভাধিপতি। পারলে ওঁরা আমাকে সরিয়ে দেখান।’’