রবিউল হাসান
সেই আমও নেই, বদলে গিয়েছে মুর্শিদাবাদও!
আমের কথা উঠলে প্রথমেই মনে আসে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কথা। এক সময়ে মুর্শিদাবাদের নবাবদের তত্ত্বাবধানে নানা প্রজাতির আমের বাগান গড়ে উঠেছিল। কিন্তু নবাবি আমলের একাধিক আমের প্রজাতি আজ প্রায় ইতিহাস। হারিয়ে যেতে বসা সেই সব আমের প্রজাতিকে বাঁচিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সাগরদিঘির ধামুয়াতে ৫০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ম্যাঙ্গো পার্ক। সেখানে ইতিমধ্যে আমের গাছ লাগানো হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছের কলম তৈরি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে ২০০টি প্রজাতির আমের কলম করা হবে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ)সুদীপ্ত পোড়েল, বিজ্ঞানী দীপক নায়েক-সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “মুর্শিদাবাদের আমের নামডাক রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু এখানকার অনেক আমের প্রজাতি হারিয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ।” প্রশাসন সূত্রের খবর, ধামুয়াতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ১৬ বিঘা জমিতে গত বছর ডিসেম্বরে ম্যাঙ্গো পার্ক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ৪৫০টি আমের গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া অতিথিশালা, আম ও আমের সামগ্রী প্রদর্শনশালা ও বিক্রয় কেন্দ্র গড়ার কাজও শুরু হয়েছে। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাব ট্রপিক্যাল হর্টিকালচার (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ)-এর সহায়তায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
এক সময় নবাবদের উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুর্শিদাবাদে কোহিতুর, নবাব পসন্দ, মির্জা পসন্দ, সাহু পসন্দ, চন্দনকোষা, দিলসাধ-সহ শতাধিক প্রজাতির আম গাছ ছিল। এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪০-৪৫টিতে। সেই পুরনো প্রজাতির আম আবার ফিরছে শুনে উচ্ছ্বসিত মুর্শিদাবাদের আম-আদমিরাও।