নিজস্ব প্রতিবেদন

মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আট জনের। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বেলডাঙার মির্জাপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মোটরবাইককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে চলে আসে একটি বেপরোয়া ট্রাক। সেই সময় ওই রাস্তার ধারে খেলছিল কয়েকজন শিশু। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শিশুর। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের নাম ইরাক শেখ (৬) এবং সেলিম শেখ (১০)। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জন শিশুকে ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এ দিন ভোরেই শিবরাত্রি উপলক্ষে বহরমপুরের জগন্নাথঘাট থেকে গঙ্গার জল আনতে গিয়ে তলিয়ে যান এক যুবক। পরে সৌম্যদীপ বিশ্বাস (২৩) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি নওদার মধুপুরে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক আমতলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। শিবরাত্রি উপলক্ষে তিনি এ দিন বহরমপুরে আসেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ বহরমপুরের জগন্নাথঘাটে জল নিতে নামেন তিনি।
এ দিন দুপুরে মুর্শিদাবাদের সুতিতে স্করপিও গাড়ি ও টোটো-অটোর সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। সুতির ধলারমোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজুর মোড় থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল স্করপিওটি। সেই সময় আচমকা গাড়িটির টায়ার পাংচার হওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার পাল্টি খেয়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি টোটো ও অটোকে ধাক্কা দেয় স্করপিওটি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে টোটো ও অটোর পাঁচ যাত্রীর। গুরুতর জখম হয়েছেন প্রায় ১৫ জন। তাঁদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।