নিজস্ব সংবাদদাতা লালগোলা

ভোটের বাজারে এ যেন খানিকটা উলটপুরাণ! যেখানে তামাম রাজ্যে বহু নেতা টিকিট না পেয়ে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, সেখানে শনিবার লালগোলায় বাম-কংগ্রেস ছেড়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে নাম লেখালেন বলেই দাবি তৃণমূলের।
তৃণমূলের দাবি, এ দিন বিকেলে লালগোলা ব্লকের কালমেঘা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস ও বামেদের যুব সংগঠন থেকে প্রায় ৭০ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিঞা ও কালমেঘা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অহিদা বিবিও।
যোগদানকারীদের মধ্যে যুব-কংগ্রেস কর্মী জিসান ইসলাম বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে রাজ্যে বিরাট উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতেই আমরা তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিঞা বলেন, ‘‘আমাদের স্থানীয় বিধায়ক ৩০ বছরে কখনও লালগোলা নিয়ে ভাবেননি। লালগোলা নিয়ে কোনও দাবি বিধানসভায় তোলেননি। তাই লালগোলার সব শ্রেণির মানুষ এই বিধায়ককে এ বার বদলানোর শপথ নিয়েছেন।’’
এ ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূলের প্রার্থী মহম্মদ আলী বলেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনে মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। ফলে তৃণমূল বাদ দিয়ে অন্য দলের হয়ে ভোট করা মানে পক্ষান্তরে বিজেপির হাতকে শক্তিশালী করা। তাই বিজেপিকে পরাস্ত করতে আজ যে কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁদের শুভেছা ও স্বাগত জানাই।’’ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে এ সবই তৃণমূলের নাটক।