রাজা বাগচী ● বহরমপুর

যশ মোকাবিলায় তৎপর বহরমপুর পুরসভা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে বাংলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে যশ। সেই কথা মাথায় রেখেই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলিতেও। বহরমপুরের পুর-প্রশাসক জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে পুরসভায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেই পরিষবা চালু থাকবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। ছ’জন করে কর্মী তিন দফায় সেখানে কাজ করবেন। ঝড়ের সময় ০৩৪৮২-২৫০০১২ এবং ৯৭৩৩১৩৩৮৩৮— এই দু’টি নম্বরে ফোন করলে সবরকম সাহায্য পাওয়া যাবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ঝড়ের সময় শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে যাতে পানীয় জল পেতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য শহরের ২৮টি ওয়ার্ডের ২৮টি জলের ট্যাঙ্ক ভর্তি করে রাখা রয়েছে। এছাড়াও বহরমপুরের খাগড়া শ্মশানঘাটের ইলেকট্রিক চুল্লিতে করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা হচ্ছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে যাতে দেহ সৎকারে সমস্যা না হয় সেই বিষয়েও বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বহরমপুর পুরসভার আধিকারিকেরা।
বৃষ্টিতে রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যান চলাচলের সমস্যা রুখতে ইতিমধ্যেই পাম্প মেশিন প্রস্তুত রেখেছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, এ রকম প্রায় সাতটি পাম্প মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত রাস্তায় জমে থাকা জল বের করে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়। একইভাবে গাছের ডাল কাটার দু’টি মেশিনও রাখা হয়েছে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়লে সেই মেশিন দিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যাবে।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকায় বেশ কিছু বস্তি রয়েছে। সেখানে কাঁচাবাড়িও রয়েছে। ঝড়ে যদি কাঁচাবাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পুর-প্রশাসক জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘ঝড় নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য বহরমপুর পুরসভা তৈরি রয়েছে।’’