কল্লোল প্রামাণিক করিমপুর

আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন স্থগিত রাখল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার করিমপুর ১ ব্লকের যমশেরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনের দিন ছিল। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ দিনের নির্বাচন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের মোট ২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৫, তৃণমূল ৭, সিপিএম ১ ও নির্দল ১টি আসনে জয়ী হয়। সেই সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি সদস্য বিজলী বিশ্বাসকে প্রধান ও সুদীপ দেবনাথকে উপপ্রধান নির্বাচিত করা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যে নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রধান বিজলী বিশ্বাস-সহ ৮ জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি। তারপর থেকে এতদিন ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন উপপ্রধান সুদীপ দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার ছিল নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন। তবে শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। করিমপুর ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, ‘‘এ দিনের নির্বাচনে পুলিশ গন্ডগোলের আশঙ্কা করেছিল। পুলিশের সেই রিপোর্ট পেয়েই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দিনে সময়মতো এই নির্বাচন হবে।’’ করিমপুর ১ বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান, এই নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে পুলিশ জানায়। আর সেই কারণেই নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
যদিও এর পিছনে বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের অনেকেই অন্য কারণ দেখছেন। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, আইন শৃঙ্খলার অজুহাত খাড়া করা হলেও ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। প্রধান পদের দাবিদার তৃণমূলেরই দু’জন। আর তা নিয়েই যত গন্ডগোল। আর সেই কারণেই পরিকল্পনা করেই এ দিনের নির্বাচন বানচাল করা হয়েছে।
বিজেপির করিমপুর ৫ মণ্ডল সভাপতি নিমাই সরকার জানান, গত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপির ১৫ জন প্রার্থীকে জয়ী করেন এবং বিজেপি বোর্ড গঠন করে। পরে কয়েকজন বিজেপি সদস্য ভয় পেয়ে ও কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনাদেশ ভুলে, সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে তৃণমূলে চলে যান।