কল্লোল প্রামাণিক করিমপুর

‘দুয়ারে সরকার’ চলছে। শুক্রবার নদিয়ার ধোড়াদহ ইউনিয়ন হাইস্কুলের মাঠে ভিড়টা আরও জমাট বাঁধছে। একমাথা রোদ নিয়ে বৃদ্ধা ঝালমুড়ি বিক্রেতা নাগাড়ে বলে চলেছেন, “ঝালমুড়ি… ঝালমুড়ি….” ।
ঠিক তখনই সরেজমিনে কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ঢুকলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি এলেন, দেখলেন এবং ঝালমুড়ি বিক্রি করলেন!
নাহ, ছাপার ভুল নয়। তিনি সত্যি সত্যিই ঝালমুড়ি বিক্রি করলেন। এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঝালমুড়ি বিক্রেতা বৃদ্ধার হাতে তুলে দিলেন নগদ ষাট টাকা।
বৃদ্ধা থ। বিস্মিত এলাকার লোকজন। তাঁদের অনেকেই বলছেন, “এতদিন শুনেছিলাম যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। এখন দেখছি, যিনি সংসদ কাঁপিয়ে দেন তিনি এত ভাল ঝালমুড়িও মাখাতে পারেন!”
যা শুনে মহুয়া হাসতে হাসতে বলছেন,”আমি আজও মা- মাটি- মানুষের সঙ্গেই আছি। সেটাই আজ আরও একবার হৃদয় থেকে প্রমাণ করে দিলাম। এ দিন এই ঝালমুড়ি বিক্রির ভিডিয়ো ফেসবুকে শেয়ার করে মহুয়া লিখেছেন, “করিমপুর আমার বাড়ি, আমার হৃদয়। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে মুড়ি মাখিয়ে বিক্রি করলাম।”
আর সেই বৃদ্ধা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবেগে চোখের জল মুছে বলছেন, “মহুয়ার মতো এমন মেয়ে বাংলার ঘরে ঘরে জন্মাক।”