জামিতুল ইসলাম কলকাতা

শান্তিপূর্ণ মিছিল বদলে গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে। ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে শনিবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। মোমবাতি হাতে শান্তিপূর্ণ মিছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হিংসাত্মক চেহারা নিল। রাস্তায় পুলিশের যাবতীয় ব্যারিকেড রাস্তায় উল্টে ফেলতে ফেলতে পার্ক সার্কাসের মোড়ের দিকে এগিয়ে গেলেন পড়ুয়ারা। যেখানে গিয়ে মানববন্ধন তৈরি করে রাস্তা অবরোধও শুরু করেন। তাদের দাবি, ‘‘দ্রুত বিচার চাই।’’
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ্মপুকুর মোড় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল যাবে বলেই খবর ছিল বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের কাছে। কিন্তু মাঝপথেই তা হঠাৎ মোড় নেয় পার্ক সার্কাস মোড়ের দিকে। যা নিয়ে পুলিশ পড়ুয়াদের বোঝাতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাস্তায় পুলিশের দেওয়া সব ব্যারিকেড উল্টে ফেলতে শুরু করেন তাঁরা। মিছিল থেকে আনিসকে খুন করা হয়েছে দাবি করে দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানান পড়ুয়ারা। পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাক্রম সামনে তুলে এনে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে এসে তিন তলা থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। যে রেশ সন্ধেয় ছড়িয়ে পড়ে কলকাতায়। পরিবার সূত্রে খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন আনিস।
দিন তিনেক আগে আমতার বাড়িতে ফেরেন আনিস। গতকাল এলাকায় একটি জলসাতেও যান তিনি। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পরে, গভীর রাতে চার জন বাড়িতে আসে। এদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আনিসের বাবাকে আটকে রেখে আনিসকে নিয়ে তিন তলায় উঠে যায় বাকি তিন জন। এরপর কাজ মিটে গেছে বলে জানিয়ে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এলাকায় প্রতিবাদী মুখ বলে পরিচিত ছিলেন আনিস। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রের মাথার পিছনে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত আনিসের বাঁ পায়ের নীচের দিকেও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।