নিজস্ব প্রতিবেদন

বৃষ্টির দেখা নেই। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সে ভাবে কালবৈশাখী হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমবে না গরমও। আর এর মধ্যেই চলছে একাদশ শ্রেণি ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তীব্র দাবদাহের কারণে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সোমবার প্রকাশিত ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষা চলাকালীন হলগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য রাখতে হবে পরিস্রুত জল এবং ওআরএসের ব্যবস্থা। এমনকি তাপপ্রবাহের কারণে কোনও পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে হবে।
জেলাশাসক, জেলা শিক্ষা অধিকর্তা, পরীক্ষাকেন্দ্র অধিকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশে পাঠানো ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই তীব্র দাবদাহ চলছে। এই পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পড়ুয়াদের স্বার্থে অবিলম্বে সক্রিয় হতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়েছে পরীক্ষা। মার্চের পরীক্ষা হচ্ছে এপ্রিল মাসে। এ দিকে, রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক জেলারই তাপমাত্রা কমবেশি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বইছে লু। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সাত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সেই কারণেই পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এই নির্দেশিকা।
সোমবার আরও একটি নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর সমস্ত জেলার (কালিম্পং ও দার্জিলিং বাদে) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিকর্তা-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলা হয়েছে, বৃষ্টির অভাব ও দাবদাহের কারণে স্থানীয়ভাবে যদি প্রয়োজন ও সম্ভব হয় তা হলে প্রাথমিক স্কুল ও এসএসকের পাঠদান সকালে করতে হবে। যদি সম্ভব না হয় তাহলে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ আছে, প্রয়োজনে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এমএসকে বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।